ম্যাজিস্ট্রেট হবার যোগ্যতা গুলো কি কি...

জানবো শিখবো'র এই আর্টিকেলে আমরা ম্যাজিস্ট্রেট সম্পর্কে জানবো। 

ম্যাজিস্ট্রেট হচ্ছেন আইন প্রয়োগ ও বিচারিক দায়িত্বপালনকারী একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা।


ম্যাজিস্ট্রেড দুই ধরনের হয়

১. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

(যারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে)

২. জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

(যারা আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা করে)  

ম্যাজিস্ট্রেটদের তাদের এখতিয়ার এবং দায়িত্বের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকারে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। 

  •  চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। 
  •  অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। 
  •  সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
  •  প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট।

সাধারণ ধরনের অন্তর্ভুক্ত

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট: তাদের জেলার মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, প্রশাসনিক কার্যাবলী দেখাশোনা করা এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সাথে সমন্বয় করার জন্য দায়ীত্ব পালন করেন।

সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম): জেলার অধীনে একটি ছোট প্রশাসনিক ইউনিটের মধ্যে কাজ করে, একটি মহকুমা হিসাবে পরিচিত, এবং প্রশাসনিক এবং নির্বাহী কার্যগুলি পরিচালনা করে।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম): জেলার বিচারিক বিষয়গুলির সভাপতিত্ব করেন এবং নিম্ন আদালত এবং ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যকারিতা তত্ত্বাবধানের জন্য দায়ীত্ব পালন করেন।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট: তাদের এখতিয়ারের মধ্যে ফৌজদারি মামলা এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি পরিচালনা করার জন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় নিযুক্ত করা হয়।

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অফ ফার্স্ট ক্লাস (জেএমএফসি): নিম্ন আদালতের স্তরে ফৌজদারি মামলা মোকাবেলা করে এবং জরিমানা আরোপ বা ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা রয়েছে।

দ্বিতীয় শ্রেণীর বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট: উচ্চ-পদস্থ ম্যাজিস্ট্রেটদের সহায়তা করে এবং কম গুরুতর ফৌজদারি মামলা এবং প্রশাসনিক বিষয়গুলি পরিচালনা করতে পারে। 

ম্যাজিস্ট্রেট হতে হলে কোন বিষয়গুলো নিয়ে পড়তে হবে?

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হতে, যেকোনো বিষয়ে অনার্স পাশের পর বি.সি.এস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হতে হবে।

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হতে, আইন বিষয়ে চার বছর মেয়াদী স্নাতক (এল.এল.বি) অনার্স ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। এরপর বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন কর্তৃক আয়োজিত (বিজেএসসি) পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

অন্যান্য বিষয় গুলো

  • গ্রেড: ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতম ডিগ্রীধারী বা ৬০% মার্ক নিয়ে পাশ হতে হবে।
  • বিদেশ থেকে অর্জিত ডিগ্রীর ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে সমমান সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে।
  • শারীরিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই তবে শারীরিকভাবে ফিট হতে হবে। এমন কোনো শারীরিক অক্ষমতা থাকা যাবেনা যার কারণে উক্ত পদের দায়িত্ব পালনে পতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতে পারে।
  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে অথবা এই দেশের স্থায়ী বাসিন্দা বা Domiciled হতে হবে।
  • বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন কেউ স্ত্রী/স্বামী হলে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

বিঃদ্রঃ প্রতিটি দেশ বা অঞ্চলের আইনি ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে এই শ্রেণিবিন্যাসগুলি সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post