এই আর্টিকেলে আমরা জানবো স্ক্যাবিস ভাইরাস সম্পর্কে। এটি এমন একটি রোগ, যা ত্বকে চুলকানি এবং ফুসকুড়ির সৃষ্টি করে। আপনি যদি এই স্ক্যাবিস ভাইরাস সম্পর্কে না জেনে থাকেন, তবে স্ক্যাবিস সম্পর্কে জেনে নিন।
স্ক্যাবিস কি
স্ক্যাবিস হল এক ধরনের চর্মজনিত ছোঁয়াচে ত্বকের রোগ, যা সারকোপ্টেস স্ক্যাবিই (Sarcoptes scabei) নামক ক্ষুদ্র জীবাণু দ্বারা সৃষ্টি হয়। এই স্ক্যাবিস ত্বকের নিচে বাসা বাঁধে এবং ত্বককে চুলকানি, লালভাব, জ্বালাপোড়া এবং ফুসকুড়ির সমস্যায় ফেলতে থাকে। এখন, স্ক্যাবিসকে প্রায়শই ভাইরাস হিসাবে উল্লেখ করা হয়। তবে প্রযুক্তিগতভাবে, এটি কোনও ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি নয়।
স্ক্যাবিসের প্রভাব
চুলকানি রোগ বা স্ক্যাবিস সাধারণত ত্বক-থেকে-ত্বকের স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। স্ক্যাবিসে আক্রান্ত এমন কারো সাথে জামা-কাপড়, তোয়ালে বা একসাথে বিছানা শেয়ার করার মাধ্যমেও এটি ছড়িয়ে থাকে। এমনকি, হাত মেলানোর মতো ক্রিয়াকলাপের সময়ও রোগটি ছড়াতে পারে। তাই এটি ছোঁয়াচে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্বব্যাপী সাধারণ একটি চুলকানীর রোগ স্ক্যাবিস। বাংলাদেশেও এই রোগের প্রভাব রয়েছে। কিছু অংশের মতে “বাংলাদেশের” উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং দুর্বল স্যানিটেশন ব্যবস্থায় রোগজীবানুর প্রভাব একটি সাধারণ সমস্যা। আসলে সচেতনতা ও যেখানে স্বাস্থ্যসেবার সুব্যবস্থা সীমিত হতে পারে, সেখানে স্ক্যাবিস ছড়িয়ে পড়া খুবই সহজ করে তুলতে পারে।
স্ক্যাবিসের লক্ষণ গুলো কি
"স্ক্যাবিসের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে তীব্র চুলকানি, বিশেষ করে রাতে। পাশাপাশি ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ছোট ছোট দানা বা গুটির মতো লালচে ভাব দেখা দেয়। সাধারণত হাত, পা, আঙ্গুল, বগল, যৌনাঙ্গ, নাভি ও নাভির চারপাশে এটি বেশি দেখা যায়। তবে এ গুটিগুলো মুখ ও মাথা বাদে সমস্ত শরীরে দেখা দিতে পারে।"
স্ক্যাবিস সম্পর্কে ভুল ধারণা
স্ক্যাবিস (Scabies) সম্পর্কে ভুল ধারণাগুলি সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে, তাই স্ক্যাবিস সংক্রান্ত সঠিক তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন যে স্ক্যাবিস শুধুমাত্র অপরিচ্ছন্নতা বা অস্বাস্থ্যকর কারণে হয়। এটা পুরোপুরি ঠিক নয়। স্ক্যাবিস একটি সংক্রামক রোগ, স্ক্যাবিস যেকোনো শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে হতে পারে, আর তা খুব সহজেই নিরাময়যোগ্য। অনেকে মনে করেন যে, স্কাবিস একবার হলে আর হবে না, একবার স্ক্যাবিস হলে আপনি আবার সংক্রমিত হতে পারেন যদি আপনার ত্বকে আবার স্ক্যাবিস পরজীবী প্রবেশ করে। পরিপূর্ণ চিকিৎসা না হলে রোগটি আবার ফিরে আসতে পারে।
প্রতিরোধ ও সুরক্ষায় করনীয়
স্ক্যাবিসের প্রতিরোধে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। প্রথমত, সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে সরাসরি শারীরিক স্পর্শ এড়িয়ে চলুন। ভালো স্যানিটেশন ব্যবহার করুন এবং চিকিৎসার পর, জামা-কাপড়, বিছানা ও অন্যান্য ব্যবহৃত সামগ্রী ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন, যাতে পুনরায় সংক্রমণ না ঘটে।
এছাড়া, যদি স্ক্যাবিসের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
স্ক্যাবিসে চিকিৎসা
চর্মজনিত রোগ স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই! স্ক্যাবিসের চিকিৎসা সাধারণত সঠিক ওষুধ, ক্রিম বা লোশন ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব। সঠিকভাবে স্ক্যাবিস বা চর্মজনিত রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে, চিকিৎসক দ্বারা সঠিক নির্দেশনা বা প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে, কিছু সাধারণ চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
স্ক্যাবিসের ক্রিম
- পারমিন ক্রিম,
- ইউনিক্স ক্রিম,
- পারমিসল ক্রিম।
স্ক্যাবিসের ট্যাবলেট
- এলিস ট্যাবলেট,
- স্ক্যাব ট্যাবলেট।
স্ক্যাবিসের সাবান
- পারমিস্ক্যাব সাবান,
- পারমেথ্রিন সাবান,
- স্ক্যাবলক সাবান।
এইগুলো সাধারণত ত্বকের চুলকানি রোগ স্ক্যাবিস বা বিভিন্ন খোসপাঁচড়া সহ ফাঙ্গাল প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।
আপনি ঘরে বসেই স্ক্যাবিসের ক্রিম, টেবলেট বা সাবানগুলো ক্রয় করতে আরোগ্য অ্যাপটি ডাউনলোড করে খুব সহজেই অর্ডার করতে পারেন। যা পৌঁছে যাবে আপনার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়। এ ছাড়াও আরোগ্যতে সকল ধরনের অথেনটিক মেডিসিন, বিউটি, ফুড এবং পেট কেয়ার প্রোডাক্টে পাচ্ছেন অবিশ্বাস্য ডিসকাউন্টে।
আরোগ্যের সাথে থাকছে
সারাদেশে ক্যাশ অন ডেলিভারি।
৪৯৯ টাকার বেশি অর্ডারে ঢাকা শহরের মধ্যে ফ্রী হোম ডেলিভারি।
৯৯৯ টাকার বেশী অর্ডারে সমগ্র বাংলাদেশে ফ্রী হোম ডেলিভারি।
আরোগ্য এপটির লিংক দেয়া আছে চাইলে সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
Order medicines at home from
Arogga app.
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
কিছু লোক সালফার বা সোরিনামের মতো হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সার দিকে ঝুঁকছে , যা ত্বকের সমস্যায় সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়। তবে, স্ক্যাবিসের চিকিত্সা হিসাবে হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করার আগে একজন পেশাদার হোমিও চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
ঘরোয়া চিকিৎসা
কিছু লোক ঘরোয়া প্রতিকার পছন্দ করে, যদিও তারা সবসময় ওষুধের মতো কার্যকর হয় না। কয়েকটি প্রাকৃতিক চিকিত্সার কথা বলা হলো যা আপনি চেষ্টা করতে পারেন:
চা গাছের তেল, :
চা গাছের তেল ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, চা গাছের তেল জ্বালা প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।
নিম গাছের পাতা, :
নিম গাছের পাতা সাধারণত ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়। আপনি নিমের পেস্ট তৈরি করতে পারেন বা পাতা সিদ্ধ করে স্নান করতে পারেন।
কাঁচা হলুদ, :
কাঁচা হলুদে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং চুলকানি কমাতে পেস্ট হিসাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।"
গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য:
ঘরোয়া প্রতিকারগুলি উপসর্গগুলি উপশম করতে সাহায্য করতে পারে তবে চিকিৎসার বিকল্প নয়।
সুতরাং, স্ক্যাবিস একটি সহজেই চিকিৎসাযোগ্য রোগ, তবে যদি তা অবহেলা করা হয়। তাহলে, স্ক্র্যাচিং সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই, এটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটির চিকিৎসা করান। সচেতন থাকুন এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিন।